গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ দূতাবাস দি হেগ কর্তৃক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনী ‘বঙ্গবন্ধুঃ ইন রিমেমব্রেন্স’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তারা তাদের এ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইরান, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, কসোভো, নিকারাগুয়া, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, জর্জিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সুদান, ভ্যাটিকান, এর রাষ্ট্রদূতরা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ান ফেডারেশন, স্পেন, অস্ট্রিয়া, পানামার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এর ট্রাস্ট ফান্ড ফর ভিকটিমস এর বোর্ড চেয়ারম্যান ফেলিপ্পি মিচেলিনি ও অন্যান্য বোর্ড মেম্বার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী, ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রবাসী বাংলাদেশীসহ প্রায় শতাধিক অতিথি উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দি হেগ-এর প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রবীন বলদেব সিং এবং ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন তথা নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত নিকারাগুয়ার রাষ্ট্রদূত কার্লোস জে আরগুয়েলো গোমেজ অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলালসহ আনুষ্ঠানিকভাবে উক্ত চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
শান্তি ও ন্যায়বিচারের শহর হিসেবে খ্যাত দি হেগ এর বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক প্রথমবারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী জনাব কাইয়ূম চৌধুরী, সর্বরী রায় চৌধুরী, মূর্তজা বশীর, আব্দুস সাত্তার, জামাল আহম্মেদ প্রমুখের ৩০টি চিত্রকর্ম নিয়ে বুড়িগঙ্গা আর্টস অ্যান্ড ক্র্যাফটস, ঢাকার পৃষ্ঠপোষকতায় উক্ত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রদূত ভেনু রাজামনি তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী হিসেবে অভিহিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীন হবার মুহূর্তে তার নিজের স্মৃতিচারণ করেন।
বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় জনগণের প্রশংসা করে তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণের অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত তার বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর পরিদর্শনের স্মৃতি বর্ণনাকালে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত গারবেন ডি জং তার বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সাধারণ মানুষের যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রত্যক্ষ করেছেন তা তুলে ধরেন।
এছাড়া, তিনি ঢাকাস্থ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বঙ্গবন্ধুর চিত্রকর্মের সংগ্রহশালার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বেলাল বলেন, দেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা, ত্যাগ এবং দূরদৃষ্টি ছিল অতুলনীয়। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়ান বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে শুধু বাধা গ্রস্তই করেনি বরং তা দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে এক ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি করেছিল।
‘বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার হৃত পথ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।’
দিনের শুরুতে দূতাবাস পরিবার এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির শিশুদেরকে নিয়ে একটি আর্ট ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। ঢাকার চিত্র শিল্পীদের দ্বারা পরিচালিত উক্ত আর্ট ক্যাম্পে শিশুরা তাদের উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তি এবং সৃজনশীল চিত্র কর্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে। আর্ট ওয়ার্কশপ এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দুটি পর্বই সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিণী ড. দিলরুবা নাসরীন।